যুক্তিবিদ্যার প্রধান শাখা সমূহ
যুক্তিবিদ্যার প্রধান শাখাসমূহ
এরিস্টটল এই শাখার ভিত্তি গড়ে তোলেন। যুক্তির কাঠামো সঠিক বা ভুল তা নির্ধারণ করার নিয়ম এখানে শেখানো হয়।
উদাহরণ: - সব মানুষ নশ্বর। - সক্রেটিস মানুষ। - তাই সক্রেটিস নশ্বর।
এখানে বক্তব্যের সত্য-মিথ্যা নয়, বরং এর গঠন সঠিক কিনা সেটাই মুখ্য।
উদাহরণ: যদি সব A হলো B এবং সব B হলো C, তবে সব A হলো C।
দৈনন্দিন কথোপকথনে ভুল যুক্তি বা fallacy চিহ্নিত করা শেখায়।
উদাহরণ: “লোকটা বিখ্যাত, তাই সে যা বলছে সব সত্য।” → এটি ভুল যুক্তি (Appeal to Authority)।
প্রতীক ও গাণিতিক চিহ্ন দিয়ে যুক্তি প্রকাশ করা হয়। এটি আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভিত্তি।
উদাহরণ: যদি P → Q হয়, এবং P সত্য হয়, তবে Q-ও অবশ্যই সত্য।
সাধারণ নিয়ম থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা হয়।
উদাহরণ: সব প্রাণী শ্বাস নেয় → কুকুর প্রাণী → তাই কুকুরও শ্বাস নেয়।
নির্দিষ্ট উদাহরণ থেকে সাধারণ নিয়ম তৈরি হয়। এখানে সম্ভাবনা থাকে, নিশ্চিততা নয়।
উদাহরণ: গত ১০০ দিনে সূর্য পূর্ব দিকে উঠেছে → তাই সূর্য সবসময় পূর্ব দিকে ওঠে।
সবচেয়ে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা নির্বাচন করা হয়। Hypothesis তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানীরা এটি ব্যবহার করেন।
উদাহরণ: মাঠ ভিজে আছে → সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ হলো বৃষ্টি হয়েছে।
গণিত ও যুক্তির প্রমাণ কিভাবে ধাপে ধাপে বৈধ হয়, সেটি বিশ্লেষণ করা হয়।
উদাহরণ: কোনো থিওরেম প্রমাণের সময় প্রতিটি ধাপ যৌক্তিকভাবে বৈধ কিনা তা যাচাই করা।
ভাষা ও যুক্তির অর্থ কিভাবে সম্পর্কিত, তা বিশ্লেষণ করা হয়।
উদাহরণ: “সব পাখি উড়তে পারে” → এখানে “সব” শব্দটির অর্থ যুক্তির নিয়মে নির্ধারিত।
বাস্তব জীবনে যুক্তিবিদ্যার প্রয়োগ। আইন, কম্পিউটার বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রভৃতিতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: প্রোগ্রামিংয়ের “if-else” শর্ত আসলে যুক্তির প্রয়োগ।
কোন মন্তব্য নেই: