ইসলামের ইতিহাস ও মূল গ্রন্থগুলো বিশ্লেষণ করলে যে বিষয়টি সবচেয়ে ভয়ংকর, অমানবিক ও বর্বর রূপে চোখে পড়ে, তা হলো—নারীকে যৌনসম্পত্তি হিসেবে বৈধ করে তোলা। এটি কেবল এক সময়কার সামাজিক প্রথার প্রতিফলন নয়; বরং এটি ধর্মীয় আইনের মাধ্যমে স্থায়ী ও পবিত্র রূপ দেওয়া হয়েছে।
১. যৌনদাসপ্রথা: ধর্মীয় অনুমোদনে বৈধ ধর্ষণ?
ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ কুরআন এবং হাদিসে “যাদেরকে তোমাদের ডান হাত মালিকানাধীন করেছে” (ما ملكت أيمانكم) এই বাক্যটি অসংখ্যবার এসেছে। এর অর্থ স্পষ্ট—যুদ্ধের মাধ্যমে বন্দী নারীদেরকে যৌনদাসী হিসেবে ভোগ করা যাবে। আশ্চর্যের ব্যাপার, এই অনুচ্ছেদে নারীর সম্মতির কোনো স্থান নেই।
যুদ্ধ করে জয়লাভের পর নারীদের বন্দী করে যৌনসম্পত্তিতে রূপান্তর করা হয়। শুধু অনুমোদন নয়, এটিকে নিন্দনীয়ও বলা হয়নি। বরং সূরা আল-মু’মিনুন (২৩:৫–৬) ও সূরা নিসা (৪:২৪) তে তা বৈধতা পেয়েছে।
এটা সরাসরি মানবাধিকারের বিরুদ্ধে। আধুনিক যুগে যেখানে সম্মতি ছাড়া কোনো যৌন সম্পর্ক স্পষ্ট ধর্ষণ, সেখানে একটি ধর্ম এটি বৈধ করেছে তার প্রবর্তকের (নবী মুহাম্মদ) আদর্শ হিসেবে।
২. শিশু যৌনতা: নবীর “সুন্নাহ” না যৌন বিকৃতি?
আয়েশার বিবাহ ও সহবাসের বর্ণনা শুধু হাদিসে নয়, ইসলামের ইতিহাসেও সুপ্রতিষ্ঠিত। বুখারির একাধিক হাদিসে উল্লেখ আছে—মুহাম্মদ তাকে ৬ বছর বয়সে বিয়ে করেন এবং ৯ বছর বয়সে সহবাস করেন। আজকের মানদণ্ডে এর ব্যাখ্যা একটাই—Pedophilia।
শিশু বয়সে মানসিক ও শারীরিক বিকাশ অসম্পূর্ণ থাকে। সে বয়সে সহবাস শুধু শারীরিক নয়, এক ভয়াবহ মানসিক সহিংসতা। অথচ ইসলাম এটিকে পবিত্রতা ও অনুকরণীয় কর্ম হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
৩. যুদ্ধবন্দী নারীর ধর্ষণ: শরিয়তের অনুমোদিত বর্বরতা
সহিহ মুসলিম (১৪৩৮) নম্বর হাদিসে স্পষ্টভাবে এসেছে যে, যুদ্ধজয়ের পর মুসলমানেরা যেসব নারীদের বন্দী করতো, তাদেরকে যৌনদাসী বানিয়ে ব্যবহার করত। যখন প্রশ্ন ওঠে—“এরা তো এখনো তাদের স্বামীদের অধীনে?”, উত্তরে মুহাম্মদ বলেন—“তোমরা তাদের সাথে সহবাস করতে পারো।”
অর্থাৎ, তাদের পূর্বস্বামীদের অস্তিত্ব ইসলামের চোখে অপ্রাসঙ্গিক। এটি কেবল নারীর প্রতি অবমাননা নয়; বরং যুদ্ধের একটি বৈধ কৌশল হিসেবে ধর্ষণকে ব্যবহার করার বৈধতা।
একবিংশ শতাব্দীর আলোকেই বিচার
ধর্মীয় অনুভূতি যাই হোক, সত্য এই যে—এই বিষয়গুলো আধুনিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে দাসপ্রথা, ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন—সবটিই অমানবিক অপরাধ। অথচ ইসলামে এগুলোকে শুধু বৈধ করা হয়নি, বরং সওয়াবের কাজ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
ধর্ম যদি সভ্যতার মাপকাঠি হয়, তাহলে এই ধর্মীয় আইনের ব্যাখ্যা সভ্যতার প্রতি এক নির্মম ব্যঙ্গ।
ইসলামের সবচেয়ে বর্বর দিক হল এইসব নিষ্ঠুরতা—যেখানে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, শিশুদেরকে যৌন নিপীড়নের লক্ষ্য বানানো হয়েছে, এবং যুদ্ধকে নারীর উপর যৌন সহিংসতা চালানোর লাইসেন্সে পরিণত করা হয়েছে। ধর্মের নামে পবিত্রতা দেয়ার এই চরম নৈতিক অধঃপতনই ইসলামকে বর্বরতার প্রতীক করে তুলেছে।
আজ আজ যদি নারীদেরকে এইভাবে ধর্মের দ্বারা শাসন না করত! ধর্মের দ্বারা জাতিকে শোষণ করছে চেষ্টা না করতো!
উত্তরমুছুনইতিহাস থেকে জ্ঞান নিতে জানতো! তাহলে গোটা সমাজটাই রক্ষা পেয়েত।