আউলনীতি: কুরআন কি অনুমোদন করে?"



 ইসলাম এবং আউলনীতি
🔴 ১. কুরআনে কোথাও আউল নীতির নাম বা পদ্ধতি নেই
যুক্তি:
কুরআনে আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলছেন:
"আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দেন, পুরুষের জন্য নারীর দ্বিগুণ..." (সূরা আন-নিসা: ১১)

👉 এখানে সুনির্দিষ্ট অংশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও বলা হয়নি:

“যদি সব অংশ মিলিয়ে ১-এর বেশি হয়, তবে অংশগুলো কেটে দাও বা স্কেল করে দাও।”

➡️ অর্থাৎ কুরআনে আউল নামে কোনো টার্ম নেই, এটি পরবর্তী ফিকহবিদদের তৈরি পদ্ধতি।
🔴 ২. আল্লাহর নির্ধারিত অংশ কাটছাঁট করা কি শরিয়ত সম্মত?
যুক্তি:
যদি আল্লাহ নিজেই বলেন, কন্যার জন্য ২/৩, স্ত্রীর জন্য ১/৮ — তাহলে মানুষ কীভাবে এগুলো কমিয়ে ফেলে?

📖 কুরআন (৪:১৩):

"এই হলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ মেনে চলে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।..."

➡️ এই আয়াত ব্যবহার করে বলা যেতে পারে: যে আংশিক কমায় (যেমন আউল করে), সে আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করছে।
৩. হাদিসে আউলের কোনো উল্লেখ নেই
যুক্তি:
যদি আউল সত্যিই শরিয়তের অংশ হতো, তাহলে রাসূল (ﷺ) তা বলে যেতেন। কিন্তু সহীহ হাদিসে "আউল" নামে কোনো বিধান নেই।

➡️ তাই কেউ বলতে পারে: আউল ফিকহবিদদের তৈরি একটি হিউম্যান স্কিমা।
🔴 ৪. কেন বঞ্চিত হয় কেউ?
যুক্তি:
ধরা যাক, একজনের অংশ ছিল ১/২। কিন্তু আউল করার পর সেটা হলো ৬/১২ → ৫/১২ হয়ে গেল।

➡️ তাহলে কি এটা জুলুম নয়?

কুরআন (৪:৮):

"এবং যখন বণ্টনের সময় আত্মীয়রা, এতিম ও গরিবরা উপস্থিত হয়, তখন তাদেরও কিছু দাও।"

👉 অথচ আউল নীতিতে সবাই কম পাচ্ছে। কেউ কেউ যুক্তি দিতে পারে: এটি আল্লাহর দেওয়া হকের মধ্যে হস্তক্ষেপ
✅ ইসলাম কী বলে?
আউল একটি বাস্তব সমাধান — যখন মোট অংশ > ১ হয় (কুরআনে নির্ধারিত অংশগুলো), তখন সব অংশ হুবহু দেয়া সম্ভব নয়। তখন সবার অংশ আনুপাতিকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন