Header Ads

Breaking News
recent

মুহাম্মাদের সীমাবদ্ধতা ও মূর্খতা

ভূমিকা

মুসলিমরা দাবি করে মুহাম্মাদ ছিলেন সর্বজ্ঞ আল্লাহর রাসূল। কিন্তু কুরআন ও হাদিসে এমন বহু বক্তব্য পাওয়া যায় যা প্রমাণ করে তিনি ছিলেন মরুভূমির সীমাবদ্ধ মানুষ। তার অজ্ঞতা ও মূর্খতা আজকের বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক। এখানে কয়েকটি দৃষ্টান্ত যুক্তিসহ তুলে ধরা হলো।

১. সূর্যের অস্ত যাওয়ার জায়গা

“সে (জুলকারনাইন) যখন সূর্যাস্তের স্থানে পৌঁছল, তখন সে সূর্যকে এক কাদাযুক্ত ঝর্ণায় অস্ত যেতে দেখল।” (সূরা কাহফ ১৮:৮৬)

🔗 quran.com/18/86

বাস্তবে সূর্য কোনো কাদামাখা ঝর্ণায় অস্ত যায় না। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, আর সূর্য আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রীয় নক্ষত্র। এখানে মুহাম্মাদের প্রাক-গ্যালিলিও যুগের ভ্রান্ত ধারণা ধরা পড়ে।

২. পৃথিবী সমতল

“তারা কি উটের দিকে লক্ষ্য করে না কিভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, আর আকাশের দিকে কিভাবে তা উত্থিত হয়েছে, আর পর্বতমালার দিকে কিভাবে তা স্থাপন করা হয়েছে, আর পৃথিবীর দিকে কিভাবে তা বিছানো হয়েছে।” (সূরা গাশিয়া ৮৮:২০)

🔗 quran.com/88/20

এখানে পৃথিবীকে ‘বিছানো’ বা ‘পেতে দেওয়া’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা স্পষ্টত সমতল ধারণার প্রতিফলন। বিজ্ঞান বলে পৃথিবী হলো গোলাকার।

৩. মানুষ সৃষ্টি শুক্রাণু থেকে

“মানুষ সৃষ্টি হয়েছে উৎক্ষেপিত পানি থেকে, যা বের হয় পিঠ ও বক্ষস্থলের মধ্যবর্তী স্থান থেকে।” (সূরা তারিক ৮৬:৬-৭)

🔗 quran.com/86/6-7

এখানে বলা হচ্ছে বীর্য নাকি পিঠ আর বুকের মাঝখান থেকে বের হয়। বাস্তবে শুক্রাণু উৎপন্ন হয় পুরুষের অণ্ডকোষ থেকে, পিঠ বা বক্ষের মাঝখান থেকে নয়। এটি মৌলিক জীববিজ্ঞানের সাথেই সাংঘর্ষিক।

৪. মাছির ডানায় রোগ ও প্রতিষেধক

“যদি কোনো মাছি তোমাদের পানীয়তে পড়ে যায় তবে সেটিকে পুরো ডুবিয়ে দাও, কারণ এর এক ডানায় রোগ আর অন্য ডানায় প্রতিষেধক রয়েছে।” (সহিহ বুখারি ৩৩২০)

🔗 sunnah.com/bukhari:3320

মাছির শরীরে অসংখ্য জীবাণু থাকে। ডুবিয়ে দেওয়ার ফলে পানীয় আরও দূষিত হবে। প্রতিষেধক থাকার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

৫. নারী ও দাসপ্রথা

“তোমরা তোমাদের ডানহাত যা অধিকার করে (দাসী নারী) তাদের ভোগ করতে পারো।” (সূরা নিসা ৪:২৪)

🔗 quran.com/4/24

যুদ্ধবন্দী নারীকে জোরপূর্বক যৌনদাসী বানানো বৈধ। আজকের মানবাধিকার ও নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ভয়াবহ পশ্চাৎপদ।

৬. শিশু বিবাহ

“নবী আমার (আয়েশার) সাথে বিবাহ করেন যখন আমার বয়স ছিল ছয়, আর নয় বছরে তিনি আমাকে দাম্পত্যে নেন।” (সহিহ বুখারি ৫১৩৩)

🔗 sunnah.com/bukhari:5133

অর্থাৎ মুহাম্মাদ ছিলেন শিশু কিশোরী বালিকা আয়েশার স্বামী। আধুনিক দৃষ্টিতে এটি শিশু নির্যাতন ছাড়া আর কিছু নয়।

উপসংহার

উপরের উদাহরণগুলো দেখায় যে মুহাম্মাদ ছিলেন সীমিত জ্ঞানসম্পন্ন মরুভূমির মানুষ। তিনি কোনো সর্বজ্ঞ ঈশ্বরপ্রেরিত দূত নন। তার কথাবার্তা বৈজ্ঞানিক সত্যের সাথে সাংঘর্ষিক, নৈতিকতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই তাকে দেবদূত বা আদর্শ মানুষ হিসেবে মানা একেবারেই অযৌক্তিক। মুক্তির পথ যুক্তি, বিজ্ঞান ও মানবিক মূল্যবোধে।

© 2025 Chintamukti. All rights reserved.

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.